রাজধানীর ফুলবাড়িয়া মার্কেটে দ্বিতীয় দিনেও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
বুধবার বেলা ১১টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়, চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। মার্কেট সংলগ্ন রাস্তার দুপাশে বন্ধ করে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, মার্কেটের সামনের চার তলা দুটি বিল্ডিং, পেছনের সারির ১০৪টি দোকান, মার্কেটের ভেতরের ৪০টিসহ এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান, এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপা।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘মেয়রের নির্দেশে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশে যে সব অবৈধ স্থাপনা আছে, আমরা সেগুলো উচ্ছেদ করব।’
তিনি জানান, ফুলবাড়িয়া মার্কেটের তিনিটি ব্লকে ৯১১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট-২ এর এ, বি ও সি ব্লকের (সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা ও জাকের প্লাজা) নয় শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযানে গেলে বাধার সম্মুখীন হন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির ওই কর্মকর্তা জানান, ২০০৯ সালে অস্থায়ী স্থাপনার এক আদেশে বলা হয়েছিল, ২৪ ঘন্টার নোটিশে যেকোন সময় তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় পুলিশ উচ্ছেদে বাধাদানকারী ব্যবসায়ীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যবসায়ীরা। প্রায় ২০ মিনিট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
ব্যবসায়ীদের ইটের আঘাতে দৈনিক জনকণ্ঠের চিত্রসাংবাদিক জীবন ঘোষ ও ডিএসসিসির দুজন উচ্ছেদ শ্রমিক আহত হন। এ সময় অন্তত সাত রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই মার্কেটের উত্তর পাশ থেকে তিন শতাধিক দোকান গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযান চলে।